Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
My site
BlogMain » 2012 » December » 12 » হতভাগী মহিলা আছে যারা স্বামীর সাথে কর্কশ স্বরে কথা বলে
1:11 AM হতভাগী মহিলা আছে যারা স্বামীর সাথে কর্কশ স্বরে কথা বলে |
এমন বহু হতভাগী মহিলা আছে যারা স্বামীর সাথে কর্কশ স্বরে কথা বলে কিন্তু কোন উপহাসের পাত্রের সাথে মোহন সুরে সংলাপ ও উপহাস হাসি তামাশা করে। এরা নিশ্চয়ই পরকালেও হতভাগী।
বেগানা নারীর সাথে মুসাহাফা বা হাত মেলানো বৈধ নয়। হাতে মোজা, দস্তানা কিংবা কাপড়ের কভার রেখেও নয়। কামভাব সহকারে হলে তা হাতের ব্যভিচার। (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ, ৪২১৬)
করতল চেপে ধরা এবং সুরসুরি দেওয়াও হল তার ইংগিত ! কোণ গম্য নার... ীর দেহ স্পর্শ, বাসে ট্রেনে, হাটে বাজারে, স্কুলে কলেজে, প্রভৃতি ক্ষেত্রে গায়ে গা লাগিয়ে বসা বা চলা, নারী পুরুষের ম্যাচ খেলা ও দেখা ইত্যাদি ইসলামে হারাম। কারণ, এ সবগুলিও অবৈধ যৌনাচারের সহায়ক। সমাজ সংস্কারক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "কোন ব্যক্তির মাথায় লৌহ সুঁচ দ্বারা খোঁচা খাওয়াও ভালো, তবুও যে নারী তার জন্যে অবৈধ তাকে স্পর্শ করা ভালো নয়”। (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ, আলবানী ২২৬)
বাইরে বের হয়ে রমণীর রমনীয়, মোহনীয় ও সৌন্দর্য-গর্বজনক চপল মধুর চলনও ব্যভিচার ও যৌন উত্তেজনার সহায়ক কর্ম। এরা সেই নারী যাদের প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তারা পুরুষকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হয়; তারা জাহান্নামী” (মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৫২৪)
অনুরূপ খট খট শব্দ বিশিষ্ট উঁচু হিলের জুতা নিয়ে চটপটে চলন, দেহের অলংকার যেমন চুড়ি, খুঁটকাটি, নুপূর, তোরা প্রভৃতির বাজনা বাজিয়ে লাস্যময় চলনও যুবকের মনে যৌন আন্দোলন আনে। সুতরাং এ কর্ম যে হারাম তা বলাই বাহুল্য।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, "তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশে সজোরে পদক্ষেপ না করে…” (সূরা নূর ৩১)
সম্পূর্ণ আয়াতটি এই, "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও”।
যেমন পথে চলার সময় পথের মাঝখান দিয়ে চলা নারীর জন্যে বৈধ নয়।(আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ৮৫৬) মহিলাদের জন্য স্বগৃহে গোসলখানা (বাথরুম) করা ওয়াজেব (সিমেন্টের হওয়া জরুরী নয়) এবং ফাঁকা পুকুরে, নদীতে, ঝর্ণায়, সমুদ্রতীরে বা সাধারণ গোসলখানায় গোসল করা তাদের জন্য হারাম। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে নারী স্বগৃহ, স্বামীগৃহ বা মায়ের বাড়ি ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) আল্লাহ্ তার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেন”। (অথবা সে নিজে করে দেয়) (সহীহ আল জামিউস সাগীর অযিয়াতুহ ২৭০ ৮)
"যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসলখানায় যেতে না দেয়” (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযি, হাকেম)
স্বগৃহ ছেড়ে পরকীয় গৃহে বাস, বান্ধবী বা বান্ধবীর স্বামীর বাড়িতে রাত্রিবাস ইত্যাদিও বিপজ্জনক ব্যভিচারের ছিদ্রপথ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে মহিলা নিজের স্বামীগৃহ ছাড়া অন্য গৃহে নিজের কাপড় খোলে সে আল্লাহ্ আযযা অজাল্লা ও তার নিজের মাঝে পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে”। (সহীহ আল জামিউস সাগীর অযিয়াতুহ ২৭১০)
একই কারণে অপরের লজ্জাস্থান(নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত) দেখা এবং একই কাপড়ে পুরুষে পুরুষে কিংবা মহিলা-মহিলায় শয়ন নিষিদ্ধ। (সহীহ তিরমিযি ২২৪৩)
পর পুরুষের দৃষ্টিতে মহিলার সর্বশরীর লজ্জাস্থান, বিশেষ করে চক্ষু এমন এক অংগ যার দ্বারা বিপত্তির সূচনা হয়। চোখাচোখি থেকে শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় গলাগলিতে। এই ছোট্ট অঙ্গার টুকরো থেকেই সূত্রপাত হয় সর্বগ্রাসী বড় এক অগ্নিকাণ্ডের।
|
Views: 297 |
Added by: Jahir
| Rating: 0.0/0 |
|