Saturday
2025-06-21
9:45 AM
Our poll
Rate my site
Total of answers: 43
Statistics

Total online: 1
Guests: 1
Users: 0
Login form
Calendar
«  June 2025  »
SuMoTuWeThFrSa
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930
Entries archive
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • My site

    রাসূল (ছাঃ)-এর একাধিক বিবাহ পর্যালোচনা :


    1. জানা আবশ্যক যে, ২৫ বছরের টগবগে যৌবনে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) বিবাহ করেন পরপর দুই স্বামী হারা বিধবা ও চার সন্তানের মা ৪০ বছরের প্রায় বিগত যৌবনা একজন প্রেীঢ় নারীকে। এই স্ত্রীর মৃত্যুকাল অবধি দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি তাকে নিয়েই ঘর-সংসার করেছেন।

      অতঃপর ৬৫ বছর বয়স্কা স্ত্রী খাদীজার মৃত্যু হ’লে তিনি নিজের ৫০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন আর এক ৫০ বছর বয়সী কয়েকটি সন্তানের মা একজন বিধবা মহিলা সাওদাকে নিতান্তই সাংসারিক প্রয়োজনে। এরপর মক্কা হ’তে হিজরত করে তিনি মদীনায় চলে যান। সেখানে শুরু হয় ইসলামী সমাজ গঠনের কঠিন ও জীবন-মরণ পরীক্ষা। ফলে মাদানী জীবনের দশ বছরে বিভিন্ন বাস্তব কারণে ও নবুঅতী মিশন বাস্তবায়নের মহতী উদ্দেশ্যে আল্লাহ্র হুকুমে তাঁকে আরও কয়েকটি বিবাহ করতে বাধ্য হ’তে হয়। উল্লেখ্য যে, চারটির অধিক স্ত্রী একত্রে রাখার অনুমতি আল্লাহ পাক স্রেফ তাঁর রাসূলকে দিয়েছিলেন। অন্য কোন মুসলিমের জন্য নয় (আহযাব ৩৩/৫০)।

      আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) নিজেই নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন যে, مَا لِى فِى النِّسَاءِ مِنْ حَاجَةٍ ‘আমার জন্য মহিলার কোন প্রয়োজন নেই’।[80] প্রশ্ন হ’ল, তাহলে কেন তিনি এতগুলো বিয়ে করলেন? এর জওয়াবে আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলি পেশ করব।-

      (১) শত্রু দমনের স্বার্থে : গোঁড়া ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরবীয় সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন রীতির মধ্যে একটি রীতি ছিল এই যে, তারা জামাতা সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিত। জামাতার সঙ্গে যুদ্ধ করা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারটি ছিল তাদের নিকটে দারুণ লজ্জা ও অসম্মানের ব্যাপার। তাই আল্লাহ পাক তার নবীকে একাধিক বিবাহের অনুমতি দেন বর্বর বিরুদ্ধবাদী শক্তিকে ইসলামের সহায়ক শক্তিতে পরিণত করার কৌশল হিসাবে। যা দারুণ কার্যকর প্রমাণিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ।-

      (ক) ৪র্থ হিজরীতে উম্মে সালামাহকে বিবাহ করার পর তাঁর গোত্র বনু মাখযূমের স্বনামধন্য বীর খালেদ ইবনে ওয়ালীদের যে দুর্ধর্ষ ভূমিকা ওহোদ যুদ্ধে দেখা গিয়েছিল, তা পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং ৭ম হিজরীর শুরুতে তিনি মদীনায় এসে ইসলাম কবুল করেন।
      (খ) ৫ম হিজরীতে জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছকে বিবাহ করার ফলে মুছত্বালিক গোত্রের যুদ্ধবন্দী একশত জন ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান হয়ে যায় এবং চরম বিরুদ্ধবাদী এই গোত্রটি মিত্রশক্তিতে পরিণত হয়। জুওয়াইরিয়া (রাঃ) বরকত মন্ডিত মহিলা হিসাবে বরিত হন এবং তার গোত্র রাসূল (ছাঃ)-এর শ্বশুর গোত্র (أصهار رسول الله) হিসাবে সম্মানজনক পরিচিতি লাভ করে।[81]

      (গ) ৬ষ্ঠ হিজরীতে উম্মে হাবীবাহকে বিবাহ করার পর তাঁর পিতা কুরায়েশ নেতা আবু সুফিয়ান আর রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন না। বরং ৮ম হিজরীর রামাযানে মক্কা বিজয়ের পূর্বরাতে তিনি ইসলাম কবুল করেন।
      (ঘ) ৭ম হিজরীর ছফর মাসে ছাফিয়াকে বিবাহ করার ফলে রাসূল (ছাঃ)-এর বিরুদ্ধে ইহুদীদের যুদ্ধ তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে সন্ধি করে তারা খায়বরে বসবাস করতে থাকে।

      (ঙ) ৭ম হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসে সর্বশেষ মায়মূনা বিনতুল হারেছকে বিবাহ করার ফলে নাজদবাসীদের অব্যাহত শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়। কেননা মায়মূনার এক বোন ছিলেন নাজদের সর্দারের স্ত্রী। এরপর থেকে উক্ত এলাকায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার বাধাহীনভাবে চলতে থাকে। অথচ ইতিপূর্বে এরাই ৪র্থ হিজরীতে ৭০ জন ছাহাবীকে দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যা ‘বীরে মা‘ঊনার ঘটনা’ নামে প্রসিদ্ধ।

      ২য় কারণ : ইসলামী বন্ধন দৃঢ়করণ :
      আয়েশা ও হাফছাকে বিবাহ করার মাধ্যমে হযরত আবুবকর ও ওমরের সঙ্গে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দৃঢ়তর ভিত্তি লাভ করে। ওছমান ও আলীকে জামাতা করার পিছনেও রাসূল (ছাঃ)-এর অনুরূপ উদ্দেশ্য থাকাটা অবাস্তব নয়। এর ফলে ইসলাম জগত চারজন মহান খলীফা লাভে ধন্য হয়েছিল।

      ৩য় কারণ : কুপ্রথা দূরীকরণ :
      পোষ্যপুত্র নিজের পুত্রের ন্যায় এবং তার স্ত্রী নিজ পুত্র বধুর ন্যায় হারাম- এ মর্মে যুগ যুগ ধরে চলে আসা সামাজিক কুপ্রথার অপনোদনের জন্য আল্লাহ্র হুকুমে তিনি স্বীয় পালিত পুত্র যায়েদ বিন হারেছাহ্র তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী যয়নব বিনতে জাহশকে বিবাহ করেন। এ বিষয়ে সূরা আহযাবের ৩৭ ও ৪০ আয়াত দু’টি নাযিল হয়। এর মধ্যে ইহুদী-নাছারাদের ও প্রতিবাদ ছিল। কেননা তারা নবী ওযায়ের ও ঈসাকে আল্লাহ্র পুত্র বলত’ (তওবাহ ৯/৩০)। অথচ কোন সৃষ্টি কোনভাবেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র পুত্র হ’তে পারে না। যেমন অন্যের ঔরসজাত সন্তান কোনভাবেই নিজ সন্তান হ’তে পারে না। বস্ত্ততঃ এ বিষয়গুলি এমন ছিল যে, এসব কুপ্রথা ভাঙার জন্য কেবল উপদেশ যথেষ্ট ছিল না। তাই আল্লাহ্র হুকুমে স্বয়ং নবীকেই সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে হয়েছিল।

      ৪র্থ কারণ : মহিলা সমাজে ইসলামের বিস্তার :
      শিক্ষা-দীক্ষাহীন জাহেলী সমাজে মহিলারা ছিল পুরুষের তুলনায় আরো পশ্চাদপদ। তাই তাদের মধ্যে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা যোরদার করার জন্য মহিলা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ছিল সর্বাধিক। পর্দা ফরয হওয়ার পর এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। ফলে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ তাঁর সহযোগী হিসাবে একাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অধিক স্ত্রী অর্থই ছিল অধিক প্রশিক্ষিকা। কেবল মহিলারাই নন, পুরুষ ছাহাবীগণও বহু বিষয়ে পর্দার আড়ালে থেকে তাঁদের নিকট হ’তে জেনে নিতেন। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরেও মা আয়েশা, হাফছাহ, উম্মে সালামাহ প্রমুখের ভূমিকা ছিল এ ব্যাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

      পরিশেষে আমরা বলতে চাই যে, একাধিক বিবাহ ব্যবস্থাকে যারা কটাক্ষ করতে চান, তাদের জানা উচিত যে, ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য সবার প্রতি সমান ব্যবহারের শর্তে সর্বোচ্চ চার জন স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাধ্য করেনি। পক্ষান্তরে আধুনিক সভ্যতার দাবীদার পাশ্চাত্যের ফ্রি ষ্টাইল যৌন জীবনে অভ্যস্ত হতাশাগ্রস্ত সমাজ জীবনের গভীরে যারা দৃষ্টি দিবেন, তারা সেখানে অশান্তির আগুন আর মনুষ্যত্বের খোলস ব্যতীত কিছুই দেখতে পাবেন না। অথচ প্রকৃত মুসলিমের পারিবারিক জীবন পরকালীন কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি ও নিষ্কাম ভালোবাসায় ভরপুর থাকে। রাসূল (ছাঃ)-এর পারিবারিক জীবন যার বাস্তব দৃষ্টান্ত।
    2. মুহম্মদ (সা) কি হযরত খাজিদা (রা) কে সম্পদের লোভে বিবাহ করেন?       প্রথম কথা, ধরেন আপনি বিল গেটসের মেয়েকে বিয়ে করতে চান। মতলবটা হইল তার সম্পত্তি দখল। এখন কন তো বিল আপনি গেটসের মাইয়াকে প্রস্তাব দেবেন নাকি বিল গেটস আপনাকে দেবে? ... সবচেয়ে বেকুব টাইপ নাস্তিকের এন্টিনাতেও ধরা দেবে বাস্তবতা। এখন জবাব দেন, মুহম্মদ (সা) হযরত খাদিজা (রা) কে বিয়ের প্রস্তাব দেন নাকি খাদিজা (রা) মুহম্মদ (সা) কে? -- আপনার সুবিধার জন্য ধরলাম বিল গেটসের মাইয়াই আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল!! আপনি কি করবেন? - যদি অর্থলোভী হন তো কোন দিক না তাকায়া "কবুল” বলে ঝাপায়া উঠবেন। - লোভী না হইলে সবদিক বিবেচনা করে বিয়ে করা যায় কি না সেটা নিয়ে কারো সাথে মশোহারা করবেন। মুহম্মদ (সা) কি করেছেন? - প্রস্তাব পাবার সাথে সাথেই তিনি কি রাজী হয়ে সম্পদে ঝাপায়া পড়েছেন? - নাকি কারো সাথে (চাচা) মশোহারা করেছেন?? এই ঘটনা জানার পরও যদি মনেহয় তিনি অর্থলোভী ছিলেন, তো এন্টেনার মানোন্নায়নের জন্য আরো কিছু তথ্য দেয়া যাইতে পারে- একজন অভাবীকে যদি ১ কোটি টাকা, সাথে রাজকন্যা ও রাজত্ত্ব দেয় হয় আর সে ফিরিয়ে দেয় তো সেই অভাবীকে আপনি কি বলবেন? সম্পদ লোভী?! : কাফের সরদার আবু জেহেল মুহম্মদ (সা) এর কাছে অফার নিয়ে আসেন। কিসের অফার? : অফারটা ছিল, আরবের সবচেয়ে রূপবতী নারীকে তাকে দেয়া হবে, তাকে করা হবে সর্দার, সাথে ধনদৌলত। বিনিময়ে তাকে ইসলাম প্রচার থামাতে হবে। - ক্ষমতা লোভী, অর্থ লোভী, নারী লোভী আপনি-আমি হইতে কি করতাম ভাবেন তো মুহম্মদ (সা) কি করলেন? তিনি বললেন, "আমার এক হাতে চাঁদ ও আর এক হাতে সূর্য এনে দিলেও আমি সত্য প্রচারে পিছুপা হবনা। এই ঘটনা থেকে যদি আপনি যদি বুঝেন, তিনি অর্থলোভী, নারী লোভী আর ক্ষমতা লোভী, তো আপনের এন্টেনা বাল্যকালের আয়োডিন স্বল্পতার কারণে কোনদিনই খাড়াইতে পারবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা যায়। ধরেন, আমার টাকা নাই, ঘর ভাঙ্গা, দড়ির বিছানায় শুয়ে ঘুমাই। ঘরের কোণায় একটা পানির কলসি ছাড়া কিছু দেখা যায়না। আমি যদি সম্পদ লোভী হই, তো কেউ আমারে কিছু দিলে কি করবো? হযরত আবু বক্কর (রা) হুজুরের ঘরে ঢুকে কেঁদে ফেলেন কারণ দড়ির বিছানায় শোয়ার কারণে তাঁর শরীর মুবারকে দাগ পড়ে যায়। আবু বক্কর বলেন, হুজুর আপনি আমাকে অনুমতি দেন আমি একটা তোষক বানায় দেই। হুজুর (সা) উত্তর দেনঃ আবু বক্কর, আমি যদি চাইতাম তো ঐ ওহুদ পাহাড় আমার জন্য স্বর্ণে পরিণত হোত । দুনিয়াতে আমি ভোগ বিলাসের জন্য আসিনাই। এইসব ঘটনার পরও কারো মনে হইতে পারে তিনি লোভী ছিলেন, কারণ প্রতিবন্ধি শব্দটা তো দুনিয়া থেকে বিদায় হয়নাই এখনো। লিখেছেন- ব্লগার কর্ণেল সামুরাই ভাইয়া ।(
    3.                

      একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, সবাইকে ফটোটা পড়ার অনুরোধ করছি। এটা আমাদের অনেকের অজানা, অনেক বোন আছেন যারা অভিভাবক ছাড়া নিজে নিজে পালিয়ে বিয়ে করেন, কিন্তু একটু ভাবছেন কি? নবীজি (সাঃ) কি বলেছেন? পড়ে নিন। আল্লাহ আপনাদেরকে বুঝদান করুক, আমীন।
      আয়েশা রযি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন : " যে কোন মেয়ে তার অভিবাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল তিনবার বলেছেন "। অবূ দাউদ, হাদীছ নং ২০৮৩।