Saturday
2025-06-21
8:49 AM
Our poll
Rate my site
Total of answers: 43
Statistics

Total online: 1
Guests: 1
Users: 0
Login form
Calendar
«  June 2025  »
SuMoTuWeThFrSa
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930
Entries archive
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • My site

    মানুষের ঠিকানা হ’ল তিনটি

    মানুষের ঠিকানা হ’ল তিনটি : ১- দারুদ দুনিয়া। অর্থাৎ যেখানে আমরা এখন বসবাস করছি ২- দারুল বরযখ। অর্থাৎ মৃত্যুর পরে কবরের জগত। ৩- দারুল ক্বারার। অর্থাৎ ক্বিয়ামতের দিন শেষ বিচার শেষে জান্নাত বা জাহান্নামের চিরস্থায়ী ঠিকানা।

    অতএব পৃথিবী হ’ল মানু... ষের জন্য সাময়িক পরীক্ষাগার মাত্র। জান্নাত থেকে নেমে আসা মানুষ এই পরীক্ষাস্থলে পরীক্ষা শেষে সুন্দর ফল লাভে পুনরায় জান্নাতে ফিরে যাবে, অথবা ব্যর্থকাম হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। অতঃপর সেখানেই হবে তাদের সর্বশেষ যাত্রাবিরতি এবং সেটাই হবে তাদের চূড়ান্ত ও চিরস্থায়ী ঠিকানা। আল্লাহ বলেন, ‘মাটি থেকেই আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি। ঐ মাটিতেই তোমাদের ফিরিয়ে নেব। অতঃপর ঐ মাটি থেকেই আমরা তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব’ (ত্বোয়াহা ২০/৫৫)।

    অতঃপর বিচার শেষে কাফেরদেরকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে জাহান্নামের দিকে এবং মুত্তাক্বীদের নেওয়া হবে জান্নাতে (যুমার ৩৯/৬৯-৭৩)। এভাবেই সেদিন যালেম তার প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করবে এবং মযলূম তার যথাযথ প্রতিদান পেয়ে ধন্য হবে। সেদিন কারু প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না (বাক্বারাহ ২/২৮১)।

    আদম (আঃ) থেকে শুরু করে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত এক লক্ষ চবিবশ হাযার পয়গাম্বর দুনিয়াতে এসেছেন[4] এবং বর্তমানে সর্বশেষ এলাহীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক মুসলিম ওলামায়ে কেরাম শেষনবীর ‘ওয়ারিছ’ হিসাবে[5] আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান সমূহ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেবার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন (মায়েদাহ ৫/৬৭)। পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস তথা ক্বিয়ামতের অব্যবহিত কাল পূর্ব পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। শেষনবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীর এমন কোন বস্তি ও ঝুপড়ি ঘরও থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পৌঁছে দেবেন না।[6]

    এতদসত্ত্বেও অবশেষে পৃথিবীতে যখন ‘আল্লাহ’ বলার মত কোন লোক থাকবে না, অর্থাৎ প্রকৃত তাওহীদের অনুসারী কোন মুমিন বাকী থাকবে না, তখন আল্লাহর হুকুমে প্রলয় ঘনিয়ে আসবে এবং ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।[7] মানুষের দেহগুলি সব মৃত্যুর পরে মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু রূহগুলি স্ব স্ব ভাল বা মন্দ আমল অনুযায়ী ‘ইল্লীন’ অথবা ‘সিজ্জীনে’ অবস্থান করবে (মুত্বাফফেফীন ৮৩/৭, ১৮)। যা ক্বিয়ামতের পরপরই আল্লাহর হুকুমে স্ব স্ব দেহে পুনঃপ্রবেশ করবে (ফজর ৮৯/২৯) এবং চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের জন্য সকল মানুষ সশরীরে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দরবারে নীত হবে (মুত্বাফফেফীন ৮৩/৪-৬)।
    See More   000 মাটি থেকেই আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি। ঐ মাটিতেই তোমাদের ফিরিয়ে নেব। অতঃপর ঐ মাটি থেকেই আমরা তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব’ (ত্বোয়াহা ২০/৫৫)। ...।। আম রা কেন use করলেন...

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন যে, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয় বান্দার সাথে দুশমনী করল, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি যেসব বিষয় ফরয করেছি, তার মাধ্যমে আমার নৈকট্য অনুসন্ধানের চাইতে প্রিয়তর আমার নিকটে আর কিছু নেই। বান্দা বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য হাছিলের চেষ্টায় থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে ভালবাসি।

    অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমিই তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শ্রবণ করে। চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দর্শন করে। হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধারণ করে। পা হয়ে যাই, যার সাহায্যে সে চলাফেরা করে। যদি সে আমার নিকটে কোন কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে তা দান করে থাকি। যদি সে আশ্রয় ভিক্ষা করে, আমি তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকি’....।

    [ বুখারী হা/৬৫০২, অধ্যায়-৮১,‘নম্রতা‘ অনুচ্ছেদ-৩৮; মিশকাত হা/২২৬৬ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর নৈকট্য লাভ’ অনুচ্ছেদ-১ ]
    "সৃষ্টির সূচনা-লগ্নে মানুষের ধর্ম কি ছিল?"

    সৃষ্টির শুরুতে মানুষের মধ্যে শির্‌কের (অংশীবাদের) প্রচলন বা শির্‌কী চিন্তা-ভাবনা ছিল না বরং তখন সর্বক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে তাওহীদের (আল্লাহ্‌র একত্ববাদের) প্রচলন এবং তাওহীদী চিন্তা-ভাবনা ও মতধারা বিরাজমান ছিল। যেমন আল্লাহ سبحانه وتعالى বলেছেন:-

    "আপনি নিজেকে দ্বীনের উপর একনিষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত করুন। এটাই আল্লাহ্‌র সেই প্রকৃতি যার উপর তিনি মানবজাতিকে সৃষ... ্টি করেছেন। আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকর্মের কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল সঠিক ধর্ম কিন্তু অধিকাংশ লোকেরা তাজানে না” (সূরা আর-রুম-৩০)

    "আর স্মরণ করুন সেই সময়ের কথা, যখন আপনার প্রতিপালক বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের বংশধরকে বের করলেন এবং তাদেরকে তাদের উপর এই মর্মে সাক্ষী বানালেন যে, আমি কি তোমাদের পালনকর্তা নই। তারা সকলেই বললো হ্যাঁ, আপনি আমাদের পালনকর্তা। আমি তোমাদের এ স্বীকারোক্তির উপর সাক্ষ্য হলাম যাতে ক্বিয়ামতের দিন তোমরা একথা বলতে না পার যে,এ বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না” (সূরা আল-আরাফ-১৭২)

    হাদীসে ক্বোদসীতে বর্ণিত রয়েছে:- আল্লাহ جل وعلا ইরশাদ করেছেন:-

    "আমি আমার বান্দাহ্‌দের সকলকেই তাওহীদে একনিষ্ঠ বিশ্বাসী করেই সৃষ্টিকরেছি। শয়তান এসে অতঃপর তাদেরকে তাদের ধর্ম থেকে বিচ্যুত করেছে। আমি তাদের জন্য যা হালাল করেছিলাম সে তাদের জন্য তা হারাম করেছে, আমি শিরকের ব্যাপারে কোন দলীল অবতীর্ণ করিনি অথচ শয়তান তাদেরকে আমার সাথে শির্‌ক করার নির্দেশ দিয়েছে” (সহীহ মুসলিম)

    এ সম্পর্কে রাছূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم বলেছেন:-

    "প্রতিটি নবজাতকই ফিতরাত তথা আল্লাহ্‌র একত্বে বিশ্বাসী হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে থাকে,অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহুদী, কিংবা খৃষ্টান কিংবা অগ্নিপূজকে পরিণত করে” (সহীহ মুসলিম)

    উপরোক্ত ঐশী প্রমানাদী দ্বারা একথা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত যে,সৃষ্টিরসূচনাতে প্রতিটি মানুষ আল্লাহ্‌র এককত্বে (তাওহীদে) একনিষ্ঠ বিশ্বাসীছিল,পরবর্তীতে তাদের মধ্যে শির্‌কী ধ্যান-ধারণার উদ্ভব ঘটে। কিন্তু মূলত তাওহীদই (আল্লাহ্‌র একত্ববাদের বিশ্বাসই) হলো মানুষের স্বভাব ও সৃষ্টিজাত ধর্ম

    See More