যদি আপনাকে কেউ বলে ১৭৫৭ সালে ঘটে যাওয়া সেই পলাশীর যুদ্ধ এখনও সরাসরি দেখা সম্ভব তবে কি বিশ্বাস হবে? অথবা আজ থেকে হাজার বছর পরে কি ঘটবে তা কি দেখা সম্ভব? প্রকৃত পক্ষে তা অসম্ভব মনে হলেও, " স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি' মতে এটা সম্ভব।
কোন বস্তু দেখার প্রথম শর্ত হল নিজের দেখার ক্ষমতা থাকা, আর সেই বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখে পড়া। এটা আমরা সবাই জানি। তার মানে এটা দাঁড়াচ্ছে যে এই দেখাটা আলোর গতির ওপরেও নির্ভরশীল।
ঠিক যে কারনে আকাশে বিজলি চমকানোর সাথে সাথে আলো দেখলেও শব্দ কানে আসে একটু পরে (কারন আলোর চেয়ে শব্দের গতি বহুগুন কম) তেমনই যদি কোন বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছাতে ২৫৪ বছর সময় লাগে তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়? হ্যাঁ, তাহলে ১৭৫৭ সালে ঘটা ঘটনা আমরা ২০১১ সালে এসে দেখব এবং সরাসরি দেখব । কি ঠিক না?
সুতরাং ভিন্ন কোন গ্রহ যা আমাদের থেকে ২৫৪ আলোক বর্ষ দূরে, সেখানকার মানুষ এখন পলাশীর যুদ্ধ দেখতে পাবে। বা ৪০ আলোকবর্ষ দুর দেশের কোন মানুষ হয়ত দেখছে উত্তাল বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে বা ৫০০০ আলোক বর্ষ দূরের অন্য কোনও পৃথিবীর মানুষ দেখছে আমাদের এই পৃথিবীতে মিসরীয়রা পিরামিত বানাচ্ছে। তার মানে আজ আমরা ৫০০০ আলোক বর্ষ দুরের দৃশ্য পৃথিবীর বুকে বসে দেখি, তা আসলে ৫০০০ বছর আগেই সেখানে ঘটে গেছে। হয়ত একটা তারা ৫০০ বছর আগে মরে গেছে। আজ তার শেষ আলো দেখে আমরা বললাম, উমুক তারা টা আজ মরে গেল!!!!
... পৃথিবীর অতীত দেখতে আলোর চেয়ে দ্রুত বেগে এমন দুরত্বে এমন সময়ের মাঝে পৌঁছাতে হবে যেখানে কাঙ্খিত অতীত (যা আমরা দেখতে চাই) এখনও পৌছায়নি। সেখানে বসে টেলিস্কোপ লাগিয়ে পৃথিবীর দিকে চাইলে একে একে অতীত দেখা শুরু হবে। ধরুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখবেন। তাহলে ১ বছরের ভেতর ৩৯ আলোক বর্ষ দূরে চলে যান। তাহলেই হবে। এর মাধ্যমে আমরা অতীত সময়ে পরিভ্রমণ করতে পারব। অবশ্য তার মানে এই নয় যে, আমরা এখনই টাইম মেশিন বানানো শুরু করবো।’
তবে সম্প্রতি আলো থেকেও গতি সম্পূর্ণ কণার কথা বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছেন যা এখন পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। এর নাম নিউট্রিনো. আজকের প্রথম আলোতে এই নিয়ে একটা লেখা পড়েছি নিচের লিঙ্ক এ গিয়ে পরে আসতে পারেন।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-25/news/188695
কোন বস্তু দেখার প্রথম শর্ত হল নিজের দেখার ক্ষমতা থাকা, আর সেই বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখে পড়া। এটা আমরা সবাই জানি। তার মানে এটা দাঁড়াচ্ছে যে এই দেখাটা আলোর গতির ওপরেও নির্ভরশীল।
ঠিক যে কারনে আকাশে বিজলি চমকানোর সাথে সাথে আলো দেখলেও শব্দ কানে আসে একটু পরে (কারন আলোর চেয়ে শব্দের গতি বহুগুন কম) তেমনই যদি কোন বস্তু থেকে আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছাতে ২৫৪ বছর সময় লাগে তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়? হ্যাঁ, তাহলে ১৭৫৭ সালে ঘটা ঘটনা আমরা ২০১১ সালে এসে দেখব এবং সরাসরি দেখব । কি ঠিক না?
সুতরাং ভিন্ন কোন গ্রহ যা আমাদের থেকে ২৫৪ আলোক বর্ষ দূরে, সেখানকার মানুষ এখন পলাশীর যুদ্ধ দেখতে পাবে। বা ৪০ আলোকবর্ষ দুর দেশের কোন মানুষ হয়ত দেখছে উত্তাল বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে বা ৫০০০ আলোক বর্ষ দূরের অন্য কোনও পৃথিবীর মানুষ দেখছে আমাদের এই পৃথিবীতে মিসরীয়রা পিরামিত বানাচ্ছে। তার মানে আজ আমরা ৫০০০ আলোক বর্ষ দুরের দৃশ্য পৃথিবীর বুকে বসে দেখি, তা আসলে ৫০০০ বছর আগেই সেখানে ঘটে গেছে। হয়ত একটা তারা ৫০০ বছর আগে মরে গেছে। আজ তার শেষ আলো দেখে আমরা বললাম, উমুক তারা টা আজ মরে গেল!!!!
... পৃথিবীর অতীত দেখতে আলোর চেয়ে দ্রুত বেগে এমন দুরত্বে এমন সময়ের মাঝে পৌঁছাতে হবে যেখানে কাঙ্খিত অতীত (যা আমরা দেখতে চাই) এখনও পৌছায়নি। সেখানে বসে টেলিস্কোপ লাগিয়ে পৃথিবীর দিকে চাইলে একে একে অতীত দেখা শুরু হবে। ধরুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখবেন। তাহলে ১ বছরের ভেতর ৩৯ আলোক বর্ষ দূরে চলে যান। তাহলেই হবে। এর মাধ্যমে আমরা অতীত সময়ে পরিভ্রমণ করতে পারব। অবশ্য তার মানে এই নয় যে, আমরা এখনই টাইম মেশিন বানানো শুরু করবো।’
তবে সম্প্রতি আলো থেকেও গতি সম্পূর্ণ কণার কথা বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছেন যা এখন পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। এর নাম নিউট্রিনো. আজকের প্রথম আলোতে এই নিয়ে একটা লেখা পড়েছি নিচের লিঙ্ক এ গিয়ে পরে আসতে পারেন।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-25/news/188695
বিচিত্র মানুষের শখ। শখের বসে ও রেকর্ড করার জন্য মানুষ কতো কিছুই না করেন। সুইজারল্যান্ডের পাইলট Yves Rossy ঠিক তেমনই একজন। তিনি একমাত্র মানব যিনি সর্ব প্রথম নিজ দেহে জেট পাওয়ার (ইন্জিন) ও পাখা লাগিয়ে প্লেনের মতো উড়তে সক্ষম হয়েছেন। তাই ডাক নামে তাকে Jet Man/Rocket Man বলেই সবাই ডেকে থাকেন। ঠিক প্লেনের মতো তিনি অতিক্রম করেছেন দীর্ঘ পথ। ২০০৮ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর সর্ব প্রথম তিনি এই পদ্ধতিতে ২৯৯ কি:মি:/ঘন্টা গতিতে ৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড ভ্রমন করেন। পরবর্তীতে এভাবে তিনি দুইটি দেশের (মরক্কো-স্পেন) মধ্যেও ভ্রমন করেন।