বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে ছেড়ে যাচ্ছি দু’টি বস্ত্ত। যতদিন তোমরা এ দু’টি বস্ত্ত আকঁড়ে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। (তা হল) আল... ্লাহর কিতাব ও তার নবীর সুন্নাহ’। [ মুওয়াত্ত্বা মালেক, মিশকাত হা/১৮৬ ]
মহান আল্লাহ বলেন, 'যদি তোমরা কোন বিষয়ে মতভেদ কর তাহলে তোমরা বিষয়টিকে আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও । সেটাই হবে উত্তম ও পরিণামের দিক দিয়ে সুন্দরতম (নিসা ৫৯)
"যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল, আর যে ব্যক্তি মূখ ফিরিয়ে নিল, আমরা তাদের উপরে আপনাকে পাহারাদার হিসাবে প্রেরণ করিনি (নিসা ৮০)
'যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল । যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের অবাধ্যতা করল, সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল । মুহাম্মাদ হলেন লোকদের মধ্যে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী মানদণ্ড (বুখারী)
আল্লাহ বলেন, ‘আমার রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৭) । ‘তিনি (রাসূল) নিজ থেকে কোন কথা বলেন না’। ‘যা বলেন অহী করা হ’লেই তবে বলেন’ (নাজম ৩-৪)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, أَلاَ إِنِّى أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ ‘জেনে রেখ, আমি কুরআন প্রাপ্ত
হয়েছি এবং তার ন্যায় আরেকটি বস্ত্ত (অর্থাৎ হাদীছ)। [27]
রাসূল (ছাঃ) বলেন, নবীগণ কোন দীনার ও দিরহাম ছেড়ে যান না। ছেড়ে যান ইলম’। [23] আর শেষনবী (ছাঃ)-এর ছেড়ে যাওয়া সেই ইলম হ’ল কুরআন ও হাদীছ। দীনার ও দিরহামের ক্ষয় আছে, লয় আছে। কিন্তু ইলমের কোন ক্ষয় নেই লয় নেই। ইলম চির জীবন্ত। যিনি হাদীছ অনুযায়ী আমল করেন, তিনি স্বয়ং নবীর আনুগত্য করেন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি হাদীছকে অগ্রাহ্য করে, সে স্বয়ং নবীকে অগ্রাহ্য করে। যেমন আল্লাহ বলেন,
‘অতএব যারা রাসূল-এর আদেশ-নিষেধের বিরোধিতা করবে, তারা এ বিষয়ে সাবধান হৌক যে, (দুনিয়াতে) ফিৎনা তাদেরকে গ্রেফতার করবে এবং (আখেরাতে) যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে’ (নূর ২৪/৬৩) । শুধু তাই নয় তার সমস্ত আমল আল্লাহ্র নিকটে বাতিল বলে গণ্য হবে (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৩) ।
অতএব কুরআন ও হাদীছ হ’ল রাসূল (ছাঃ)-এর রেখে যাওয়া দুই অনন্য উত্তরাধিকার, দুই জীবন্ত মু‘জেযা। যা মানবজাতির মুক্তির দিশা। অতএব সর্বাবস্থায় সেদিকেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দিন- আমীন!! Qur'an and Sunnah - My way to Jannah
See More