Saturday
2025-06-21
8:34 AM
Our poll
Rate my site
Total of answers: 43
Statistics

Total online: 1
Guests: 1
Users: 0
Login form
Calendar
«  June 2025  »
SuMoTuWeThFrSa
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930
Entries archive
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • My site

    ইসলামে নারীর যৌন অধিকার

    ইসলামে নারীর যৌন অধিকার


    লিখেছেনঃ সাদাত....... [লেখাটিতে আমরা যা জানবো- ইসলামের দৃষ্টিতে নারী কি পুরুষের উপভোগের যৌন মেশিন? ইসলামে কি পুরুষকে স্ত্রীর ওপরযথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে? স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র – কেন এই আয়াত? ইসলামে কি নারীদের যৌন চাহিদারকোন স্বীকৃতি নেই? ইসলামে কি যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে?] ভূমিকা ইসলামের সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরংএই ব্যাপারে পুরুষকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর স্ত্রী সেই চাহিদা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। এই ধারণার পেছনে কুরআন আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকে সামনে রাখতে হবে। যা হোক, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। আসুন চলে যাই মূল আলোচনায়। পরিচ্ছেদ ১ কেন এই দাবি? সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতেবলা হয়েছে- أَنَّىشِئْتُمْنِسَآؤُكُمْحَرْثٌلَّكُمْفَأْتُواْحَرْثَكُمْ Your wives are a tilth for you, so go to your tilth, when or how you will তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। হঠাৎ করে এই আয়াতাংশ কারো সামনে পেশ করা হলে মনে হতে পারেযে এখানে পুরুষকে যখন ইচ্ছা তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনাচার অবাধ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এমনকি স্ত্রীর সুবিধা-অসুবিধার দিকেও তাকানোর কোন প্রয়োজন যেন নেই। যারা এই ধরণের ধারণার প্রচারণা চালান তারা সাধারণত এই আয়াতটি উল্লেখ করার পর তাদের ধারণার সাপোর্টে কিছু হাদিসও পেশ করেন,যেমন- কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিছানা পরিহার করে রাত কাটায় তবে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। (মুসলিম, হাদিসের ইংরেজি অনুবাদ-৩৩৬৬) উপরিউক্ত আয়াতাংশ এবং এই ধরণের কিছু হাদিস পেশ করে অনেকই এটা প্রমাণ করতে চান ইসলাম কেবল পুরুষের যৌন অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং নারীকে যৌন মেশিন হিসেবে যখন তখন ব্যবহারের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে।সোজা কথায় ইসলামে যৌন অধিকার যেন একতরফাভাবে পুরুষের! আসলেই কি তাই? পরিচ্ছেদ ২ ২.১ কুসংস্কারের মূলোচ্ছেদকারি কুরআনের ২:২২৩ আয়াত সংক্রান্ত বিভ্রান্তির নিরসন মদিনার ইহুদিদের মধ্যে একটা কুসংস্কার এই ছিল যে, কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে যোনিপথে সঙ্গম করত তবে বিশ্বাস করা হতো যে এর ফলে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তানের জন্ম হবে। মদিনার আনসাররা ইসলামপূর্ব যুগে ইহুদিদের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিল। ফলে আনসারগণও এই কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন। মক্কাবাসিদের ভেতর এই কুসংস্কার ছিল না। মক্কার মুহাজিররা হিজরত করে মদিনায় আসার পর, জনৈক মুহাজির যখন তার আনসার স্ত্রীর সাথে পেছন দিক থেকে সঙ্গম করতে গেলেন, তখন এক বিপত্তি দেখা দিল। আনসার স্ত্রী এই পদ্ধতিকেভুল মনে করে জানিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুমতি ব্যতিত এই কাজ তিনি কিছুতেই করবেন না। ফলে ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছে গেল। এ প্রসঙ্গেই কুরআনের আয়াত (২:২২৩) নাযিল হয়, যেখানে বুঝানো হচ্ছে- সামনে বা পেছনে যেদিক দিয়েই যোনিপথে গমন করা হোক না কেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন তাতে শস্য উত্পাদনে যেমন কোন সমস্যা হয় না, তেমনি স্বামী তার স্ত্রীর যোনিপথে যেদিক দিয়েই গমন করুক না কেন তাতে সন্তান উত্পাদনে কোন সমস্যা হয় না এবং এর সাথে ট্যারা চোখবিশিষ্ট সন্তান হবার কোন সম্পর্ক নেই। বিস্তারিত তাফসিরপড়ে দেখতে পারেন। আরেকটা বিষয় হচ্ছে পায়ুপথে গমন (Anal Sex) করা হারাম। বিস্তারিত এই লিংক ক্লিক করুন। কাজেই এই আয়াতের উদ্দেশ্য ইহুদিদের প্রচারিত একটি কুসংস্কারের মূলোত্পাটন, স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতিলক্ষ না রেখে যখন তখন অবাধ যৌনাচারের অনুমোদন নয়। যারা মনে করেন কুরআনে ইহুদি খৃষ্টানদের কিতাব থেকে ধার করাহয়েছে বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদি খৃষ্টানদের থেকে শুনে শুনে কুরআন রচনা করেছেন, এই আয়াত তাদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর বটে! প্রকৃত মুক্তচিন্তার অধিকারীদের বরং এই আয়াতের প্রশংসা করার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাংসার যোগ্য আয়াতটিকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। ২.২ ফেরেশতাদের অভিশাপ সংক্রান্ত হাদিসটির বিশ্লেষণ এবার ফেরেশতাদের অভিশাপ করা সংক্রান্ত ওপরের হাদিসটার কথায় আসি। এই হাদিসটা বুখারিতেও এসেছে আরেকটু পূর্ণরূপে এভাবে:যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যেমন- সঙ্গম করার জন্য), আর সে প্রত্যাখান করে ও তাকে রাগান্বিত অবস্থায়ঘুমাতে বাধ্য করে, ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ করতেথাকে। [বুখারি, ইংরেজি অনুবাদ ভলি- ৪/বুক-৫৪/৪৬০] একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন, স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় স্বামী রাগান্বিত হয়ে কী করছে? স্ত্রীর ওপর জোর-জবরদস্তি করে নিজের যৌন অধিকার আদায় করে নিচ্ছে? নাকি ঘুমিয়ে পড়েছে? এই হাদিসে নারী কর্তৃক স্বামীরডাকে সাড়া না দেওয়ার কারণে স্ত্রীর সমালোচনা করা হলেও পুরুষকে কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে নিজ অধিকার আদায়ে উত্সাহিত করা হচ্ছে না। আবার স্ত্রী যদি অসুস্থতা বা অন্য কোন সঙ্গত ওজরের কারণে যৌনাচারহতে বিরত থাকতে চান, তবে তিনি কিছুতেই এই সমালোচনার যোগ্য হবেন না, কেননা ইসলামের একটি সর্বস্বীকৃত নীতি হচ্ছে: আল্লাহপাক কারো ওপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না [২:২৮৬] আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। [২৩:৬২] আরো পড়ুন............ইসলামে নারীর যৌন অধিকার
    ২.৩ ইসলাম কি শুধু নারীকেই সতর্ক করেছে? এটা ঠিক যে ইসলাম স্ত্রীদেরকে স্বামীর যৌন চাহিদার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে, কিন্তু স্বামীকে নিজ চাহিদা আদায়ের ব্যাপারে উগ্র হবার কোন অনুমতিযেমন দেয়নি তেমনি স্বামীকেও স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি যত্মবান হবার নির্দেশ দিয়েছে।ইসলাম স্ত্রীকে বলেছে যদি রান্নরত অবস্থায়ও স্বামী যৌন প্রয়োজনে ডাকে তবে সে যেন সাড়া দেয়, অন্য দিকে পুরুষকে বলেছে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করে, স্ত্রীর কাছে ভালো সাব্যস্ত না হলে সে কিছুতেই পূর্ণ ঈমানদার বা ভালোলোক হতে পারবে না। এই কথা জানারপরও কোন পুরুষ কি স্ত্রীর সুবিধার প্রতি কোনরূপ লক্ষ না রেখেই যখন তখন তাকে যৌন প্রয়োজনে ডাকবে? ইসলাম পুরুষকে এব্যাপারেও সাবধান করেদিয়েছে যে নিজের যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে স্ত্রীর যৌন চাহিদার কথাকে সে যেন ভুলে না যায়। অনেকে হয়ত ভাবছেন, কী সবকথা বলছি, কোথায় আছে এসব? চলুন সামনে এগিয়ে দেখি। পরিচ্ছেদ ৩ ৩.১ ইসলামে স্ত্রীর সাথে সদাচরণের গুরুত্ব নিচের হাদিসগুলো একটু ভালো করেলক্ষ করুন: হাদিস-১ আবুহুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার আচার-আচরণ উত্তম। আর তোমাদের মাঝে তারাই উত্তম যারা আচার-আচরণে তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। [তিরমিযি, হাদিস নং১০৭৯] হাদিস-২ আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুমিন মু’মিনা(স্ত্রী)র প্রতি বিদ্বেষ রাখবে না। যদি তার একটি অভ্যাস অপছন্দনীয় হয় তবে আরেকটি অভ্যাস তো পছন্দনীয় হবে। [মুসলিম হাদিস নং- ১৪৬৯, ২৬৭২] হাদিস-৩ আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ঈমানওয়ালাদের মধ্যে পরিপূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি যার আচার-আচরণ উত্তম এবং নিজ পরিবারের জন্য অনুগ্রহশীল। [তিরমিযি, হাদিস নং- ২৫৫৫] ৩.১.১ তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে: ৩.১.১.১ মু’মিন পুরুষ তার মু’মিনাস্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ রাখতে পারবে না। ৩.১.১.২ সদাচারী এবং স্ত্রী-পরিবারের প্রতি কোমল, নম্র, অনুগ্রহশীল হওয়া ঈমানের পূর্ণতার শর্ত। ৩.১.১.৩ কোন পুরুষ যদি উত্তম হতেচায় তাকে অবশ্যই তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হবে।একজন মুসলিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হচ্ছে তার ঈমান- যে ঈমানের জন্যসে নিজের প্রাণ বিসর্জন করতেও কুন্ঠিত হয় না- সেই ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য স্ত্রীর সাথেসদাচারী, নমনীয় এবং অনুগ্রহশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কোন মুসলিম উত্তম বলে বিবেচিত হতেই পারবে না যদি না স্ত্রীর সাথে তার আচার-আচরণ উত্তম হয়। ৩.১.২ এখন প্রশ্ন হলো- ৩.১.২.১ যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি কোন লক্ষ্য রাখে না, সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে? ৩.১.২.২ অথবা যে স্বামী তার স্ত্রীর সুবিধা অসুবিধার প্রতিলক্ষ্য না রেখে যখন তখন তার স্ত্রীর সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হয় সে কি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে পারে? ৩.১.৩ উত্তর হচ্ছে, পারে না। একজন ভালো মুসলিম যেমন স্ত্রীরজৈবিক চাহিদার প্রতি যত্নবান হবে, তেমনি নিজের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টিও করবে না যা তার স্ত্রীর জন্য কষ্টকর হয়। স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণ করে কেউতার স্ত্রীর কাছে ভালো হতে পারে না আর পরিপূর্ণ মু’মিনও হতে পারে না। ৩.২ ইসলামে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি গুরত্ব ইসলাম নারীর যৌন অধিকারকে শুধুস্বীকৃতিই দেয় না বরং এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন নিচের হাদিসটি তার একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তারস্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮] কী বলা হচ্ছে এখানে? সহবাসকালেপুরুষ তার নিজের যৌন চাহিদা পুরো হওয়া মাত্রই যেন উঠে না যায়, স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ হওয়া পর্যন্ত যেন বিলম্ব করে।এরকম একটা হাদিস চোখ দিয়ে দেখার পরও কারো জন্য এমন দাবি করা কি ঠিক হবে যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি নেই! এসব তো গেল উপদেশ। কিন্তু বাস্তবে কেউ যদি এসব উপদেশ অনুসরণ না করে তাহলে এই ধরণের পুরুষদের সতর্ক করা তার অভিভাবক এবং বন্ধুদের যেমন দায়িত্ব তেমনিস্ত্রীরাও তাদের স্বামিদের বিরূদ্ধে ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করার অধিকার রাখে। এধরণের কিছুঘটনা পরিচ্ছেদ চারে আসছে। এছাড়া সঙ্গমকালে স্ত্রীকে যৌনভাবে উত্তেজিত না করে সঙ্গমকরাকে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে স্বামীর চাহিদা পূরণ হলেও স্ত্রীর চাহিদা পূরণ হয় না এবং স্ত্রীর জন্য তা কষ্টকর হয়। পরিচ্ছেদ পাঁচে এই ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে। পরিচ্ছেদ ৪ এই পরিচ্ছেদে আমরা কিছু দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে স্ত্রীর যৌন অধিকারের প্রতি অবহেলা করার কারণে স্বামীকে সতর্ক করাহয়েছে, এমনকি স্বামীর বিরূদ্ধে ইসলামি শাসকের কাছে নালিশ পর্যন্ত করা হয়েছে। আরো পড়ুন.......<>পরিচ্ছেদ ৫ ইসলামে শৃঙ্গারের গুরুত্ব ইসলাম সঙ্গমের পূর্বে স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি বা শৃঙ্গার করার প্রতি যথেষ্ঠ গুরুত্ব আরোপ করে। স্ত্রীর যৌনাঙ্গকে সঙ্গমের জন্য প্রস্তুত না করেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়াকে- যা স্ত্রীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর- ইসলামে ‘পশুর ন্যায় সঙ্গম করা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং সঙ্গমেরআগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করাকে সুন্নাতে মু্‌ওয়াক্কাদাহ বলা হয়েছে। এই পরিচ্ছদে জনৈক মহিলা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে দারুল-ইফতা, Leicester, UK থেকে প্রদানকৃত একটি ফতোয়ার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করবো যাতে ইসলামেশৃঙ্গারের গুরুত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে: ইমাম দাইলামি(রহ.) আনাস বিন মালিক(রা.) এর বরাতে একটি হাদিসলিপিবদ্ধ করেছেন যে রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, "কেউ যেনপশুর মতো তার স্ত্রী হতে নিজের যৌন চাহিদাকে পূরণ না করে, বরং তাদের মধ্যে চুম্বন এবং কথাবার্তার দ্বারা শৃঙ্গার হওয়া উচিত।” (দাইলামি’র মুসনাদ আল-ফিরদাউস, ২/৫৫) ইমাম ইবনুল কাউয়্যিম(রহ.) তাঁরবিখ্যাত ‘তিব্বে নববী’তে উল্লেখকরেছেন যে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শৃঙ্গার করার আগে সঙ্গম করতে নিষেধ করেছেন।(দেখুন: ‘তিব্বে নববী’, ১৮৩, জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে) আল্লামা আল-মুনাবি(রহ.) বলেন: "সঙ্গমের আগে শৃঙ্গার এবং আবেগপূর্ণ চুম্বন করা সুন্নাতেমু্‌ওয়াক্কাদাহ এবং এর অন্যথাকরা মাকরূহ।” (ফাইজ আল-ক্বাদির,৫/১১৫, দ্রষ্টব্য: হাদিস নং ৬৫৩৬) [সূত্র] শেষের কথা: শুরুতেই বলেছিলাম, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। কাজেই ইচ্ছা করেই কুরআন এবং হাদিসের উল্লেখযোগ্য অনেক কিছুই এখানে যোগ করি নাই। কিন্তু যতটুকু উল্লেখ করেছি তাজানবার পরও ‘ইসলামে নারীদের যৌনচাহিদার কোন মূল্য নেই’, ‘ইসলামেপুরুষকে স্ত্রীর ওপর যথেচ্ছ যৌনাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে’, ‘ইসলামে যৌন অধিকার একতরফাভাবে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে’ এই জাতীয় অভিযোগ সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ আশা করি করবেন না। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক
    সেক্সের গোপন রহস্য ( পুরুষত্বহীনতা, স্তন এবং বয়স্কের যৌনতা’ )


    পুরুষত্বহীনতা বলতে পুরুষের অপারগতাকে বোঝায় যৌনমিলনের সময়। পুরুষত্বহীনতা পুরুষের যৌনাঙ্গ উত্থান সংক্রান্ত শারীরিক রোগ বিশেষ। *. অধিকাংশ পুরুষের জীবনেই পুরুষত্বহীনতা একটা বিশেষ ভূমিকা রাখে *. মস্তিষ্কের ইচ্ছাশক্তি পুরুষকে যৌন উত্তেজিত করে তোলে *. দেখা যায় ইচ্ছা শক্তির পূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও অনেক পুরুষের পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয়না *. ডাক্তারী ভাষায় একে বলা হয় পুরুষত্বহীনতা এটি যদি পুরুষের জীবনে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্ট ও মনোবিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন চিকিৎসার মাধ্যমে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পুরুষ এবং নারী উভয়েরই স্তন রয়েছে। নারীদের স্তনে দুধ তৈরিহয়, একে দুধ তৈরির গ্ল্যান্ডও বলা হয়। *. নারীর স্তনবৃন্ত বা বোঁটার মধ্যে ছিদ্র থাকে যার ফলে স্তন থেকে দুধ বাইরে বেরিয়ে আসে। *. স্তনে কিছু ফ্যাটি টিস্যু থাকে যার মাধ্যমে নারীদের স্তনে অধিক মাংস জমা হয় *. এবং এটি উঁচু হয়ে থাকে *. নারীদের স্তন অবশ্য একেকজনেরএকেক রকম হয়ে থাকে *. নারীর স্তন খুবই যৌনস্পর্শকাতর *. স্তনবৃন্ত বা বোঁটা খুবই স্পর্শকাতর ও উত্তেজক হয়ে থাকে *. নারীদের স্তনের রঙও একেক জনের একেক রকম হতে পারে *. নারীর স্তনের তিনটি প্রধান কাজ হল- *. শিশুর জন্য দুধের সরবরাহ করা *. যৌন উত্তেজনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করা *. নারীর দেহের সৌন্দর্য বাড়িয়েদেয়া *. নারীর স্তন যৌনমিলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে *. উত্তেজনার সময় নারীর স্তনে রক্তের সরবরাহ হতে থাকে *. এবং স্তনবৃন্ত বা বোঁটা শক্ত হয়ে যেতে থাকে *. পুরুষের সপর্শকাতর চাপ *. কামড়/দংশন *. এবং আদরে এটি যৌন উত্তেজনার তুঙ্গে উঠে যায় *. নারীর স্তনের আকারের ওপর নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষার পরিমাণকরা যায় *. সাধারণত অধিক ছোট স্তনের নারীদের যৌনতৃষ্ণা অনেকটা ম্রিয়মাণ থাকে *. তবে অনেক ক্ষেত্রে এর বিপরীতও হতে পারে এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডে প্রস্তুত হওয়া পদার্থকে বলা হয়হরমোন। হরমোন শরীর ও মনের বিভিন্ন কাজে ভূমিকা রাখে। *. যৌন হরমোন শরীরের যৌন গ্ল্যান্ডগুলোতে তৈরি হয় *. নারীদের ওভারি বা ডিম্বাশয় *. এবং পুরুষদের টেস্টিক্যালস বা অন্ডকোষে যৌন হরমোন তৈরি হয় *. প্রধান দুটো হরমোন হল- *. এস্ট্রোজেন এবং এন্ডোজেন বা টেস্টোস্টেরন *. অধিকাংশ পুরুষ দিনে ৬-৮ গ্রাম টেস্টোস্টেরন বা এন্ডোজেন তৈরি করতে পারে *. অন্যদিকে নারী ০.৫ মিলিগ্রাম এস্ট্রোজেন তৈরি করতে পারে *. এস্ট্রোজেন হরমোনের দ্বারাই নারীর শারীরবৃত্তি প্রথম সম্ভব হয় *. নারীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এস্ট্রোজেনের প্রভাবেই সুদৃঢ় হয় *. এস্ট্রোজেন নারীর মাসিকচক্রকেও সুসংগঠিত করে ওনিয়মিত করে *. নারীর স্তন ও জরায়ুকে সুসংহত করতে এস্ট্রোজেন প্রধান ভূমিকা রাখে *. পুরুষের অন্ডোকোষে যে হরমোন তৈরি হয় সেটি হল এন্ডোজেন *. এর মাধ্যমে পুরুষ তার যৌন ক্ষমতা পায় *. এটি পুরুষের দেহের পেশিকে শক্তিশালী করে *. এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে চুল গজাতে সাহায্য করে *. এটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য যে হরমোনের ওপর নারী এবং পুরুষের যৌনাবস্থা সম্পূর্ণইনির্ভরশীল। *. নারী এবং পুরুষ তাদের যৌন হরমোনের প্রভাবের দ্বারাই যৌনমিলন ঘটায় এবং যৌন জীবন যাপন করতে পারে নগ্নতার অপর নাম পর্নোগ্রাফি। ছবি, পত্র পত্রিকা কিংবা নগ্নতাসমৃদ্ধ পুস্তিকার নাম পর্নোগ্রাফি। নগ্নতা ছাড়া পর্নোগ্রাফি সম্ভব নয়। *. গ্রীক শব্দ পর্নিয়া থেকে পর্নোগ্রাফি শব্দের উদ্ভব *. পর্নিয়া অর্থ পতিতা *. এর অর্থ পতিতা এবং তার জীবন সম্পর্কিত কাহিনী *. পাশ্চাত্যে পর্নোগ্রাফির জোয়ার খুব বেশি *. তবে যৌনতার অবাধ আচরণের জন্য পর্নোগ্রাফি সেখানে খুব একটাআলোচনায় আসে না *. আমাদের দেশে আইন করে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে *. কারণ এর মাধ্যমে যৌন অপরাধসমূহ বৃদ্ধি পায় *. পাশ্চাত্যে এক সমীক্ষায় দেখাগেছে ১৪-৬০ বছরের নারী *. এবং ৩৬-৭৭ বছরের পুরুষরা বেশি মাত্রায় যৌনতা সমৃদ্ধ পর্নোগ্রাফি দেখতে অভ্যস্ত *. কোনো কোনো সময় এটি দম্পতিদের যৌন উত্তেজনাকে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপিত করে *. অনেক দম্পতি যৌনমিলনে যাবার পূর্বে পর্নোগ্রাফিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। বয়সের যৌনতা একটা জটিল বিষয়। দীর্ঘ আলোচনাতে এটি একটি স্বতন্ত্র বড় মাপের প্রবন্ধ হতে পারে। *. পাশ্চাত্যে ব্যাপক আকারে এটিআলোচিত হতে দেখা যায় যে, বয়স ওযৌনতার স্বরূপ কি *. কত বয়স পর্যন্ত একজন পুরুষ কিংবা একজন নারী যৌনমিলনে সমর্থ থাকে, ব্যাপারটি খুবই জরুরি *. বিজ্ঞান মনে করে যে, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন পুরুষ শারীরিকভাবে যৌনমিলনের জন্য সক্ষম থাকে *. তার এ শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষতার জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক কাজ কর্মের ব্যাপারটি জড়িত *. গবেষণায় জানা গেছে যে, যৌনতারব্যাপারটি বয়সের ওপর তেমন একটা নির্ভর করে না *. ইচ্ছাশক্তি হল যৌনতার প্রধানশক্তি *. এবং অনেক মধ্যবয়সী পুরুষকেও যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহী দেখাযায় *. আবার অনেক বৃদ্ধকে যৌনতার ব্যাপারে উৎসাহী ও পারদর্শী হতে দেখা যায় *. মূলত যৌনমিলনের ব্যাপারে দম্পতিরা যদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত উৎসাহী থাকেন তবে দীর্ঘকাল যৌনমিলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব *. আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং রুচিবোধের কারণে পঞ্চাশ বছরের পর অনেকেই যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন *. মেনস্ট্রুয়াল ফাংশন বন্ধ হয়েযাবার পরও অনেক বয়স্ক নারীকে যৌন উদ্দীপ্ত দেখা যায় *. আসলে বয়সের ওপর যৌনতার তেমন একটা প্রভাব নেই *. শারীরিক সক্ষমতা এবং ইচ্ছা শক্তি অটুট থাকলে দীর্ঘ জীবন যৌনমিলন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভবকিছু নয়। অধিকাংশ পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সাময়িক। দেখা যায় যে খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে। *. খুব বেশি মাত্রায় মদ সেবনের ফলে পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায় *. সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে *. মনোদৈহিক যেসব কারণে পুরুষত্বহীনতা হতে পারে সেগুলো হল *. পিতা বা মাতার কঠিন অনুশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকা *. দাম্পত্য সমস্যা *. পূর্বের যৌন অক্ষমতার জন্য পাপবোধ *. যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহ *. অকাল বীর্যপাত *. যৌনমিলনে সফলতা আসবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা *. বড় হাইড্রোসেল *. টেস্টিকুলার ফাইব্রোসিস *. মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন *. এনজিনা *. ডায়াবেটিস *. স্থূলতা *. এক্রোমেগালি *. থাইরোটক্সিকোসিস *. ইনফ্যান্টালিজম *. ক্যাসট্রেশন *. প্রোসটাটেকটমি *. ফাইমোসিস *. ইউরেথ্রাইটিস *. প্রিয়াপিজম *. প্রোসটাটিটিস *. অপুষ্টি *. সপাইনাল কর্ডের আঘাত *. মাল্টিপোল সিরোসিস *. পারকিনসন্স ডিজিজ *. টেমপোরাল লবের সমস্যা *. মাম্পস *. টিউবার কিলোসিস *. গনোরিয়া *. স্নায়ু শিথিলকারী ওষুধ *. এন্টিহাইপার টেনসিভ ড্রাগ *. এ্যালকোহল সেবন *. ইমিপ্রামিন সেবন *. রেজারপাইন সেবন ল্যাবরেটরিতে ডাক্তার রোগীর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকবেন-এতে করে দ্রুত সমস্যা নির্ণয় করা সহজ হয় ল্যাবরেটরিতে পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন টেস্ট করানো হয় এগুলো হল- *. মূত্র পরীক্ষা *. থুথু পরীক্ষা *. বীর্য পরীক্ষা *. রক্তের সিবিসি পরীক্ষা *. এসএম এ-১২ পরীক্ষা *. প্রোল্যাকটিন স্তর পরীক্ষা *. টেস্টোস্টেরণ স্তর পরীক্ষা *. যে কোনো ধরনের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার জন্য তার রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়- *. ডাক্তারকে জানতে হয় পুরুষের ক্রমাগত যৌন সমস্যা কেন সৃষ্টি হচ্ছে *. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মনোদৈহিক কারণের চাপ শরীরের ওপর এসে পড়ে এবং *. এই জন্য পুরুষ উত্থান সমস্যায় ভোগে *. রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারকেযে বিভিন্ন বিষয় জানতে হয়, এগুলো হল- *. রোগীর ব্যক্তিগত ইতিহাস *. রোগীর পারিবারিক ইতিহাস *. রোগীর লিঙ্গ পরীক্ষা *. রোগীর শারীরিক পরীক্ষা *. মিনেন সোটা মাল্টিফেজিক পারসোনালিটি ইনভেনটোরি পরীক্ষা রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস এবং রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস জানা এজন্য জরুরি যে, এতে করে রোগ নির্ণয় করা সুবিধা হয় *. ডাক্তার বুঝতে পারেন পুরুষত্বহীনতার এ সমস্যাটির কারণ শারীরিক না মানসিক *. অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদ সেবনজনিত কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয় এবং *. এটি স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে *. অনেকে আবার যৌনতার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে এবং *. অনেকের অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে রোগীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে প্রধান বিবেচ্য বিষয় থাকে তার রেসপিরেটরি এবং কার্ডিওভাসকুলার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য করা এছাড়াও স্নায়ু ব্যবস্থা কতটুকু সুস্থ আছে তা জানা !>>>‘পাশাপাশি ও উপর আসন’ মিলনের উপর ভিত্তি করে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের বন্ধন গড়ে ওঠে। মনোবিজ্ঞানীর চোখে নর-নারীর মিলনের যথেষ্ট মূল্য রয়েছে। মিলন ছাড়া নারী-পুরুষেরদাম্পত্য জীবন কখনই গড়ে উঠতে পারে না। রতি-মিলনের বন্ধনই পুরুষ ও নারীকে সংসার জীবনে আবদ্ধ করে রাখে। মিলনের গরমিল বিবাহ বিচ্ছেদের পথ খুলে দেয়। স্বার্থক দাম্পত্য জীবনের পেছনে রয়েছে স্বার্থক রতি সুখের, রতি তৃপ্তির ছোঁয়া। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গতি থাকবে না যদি স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবনে কোনো অসঙ্গতি থাকে। দাম্পত্য জীবনে অকৃত্রিম ও অনাবিল সুখ পাওয়ার জন্য পুরুষকে বিজ্ঞান সমমত কামকলার সাধারণ জ্ঞান আয়ত্ত করতে হবে। কামকলায় রয়েছে বিভিন্ন আসন। এ আসন বৈচিত্র্যতা যৌনতায় তৃপ্তিআনে। যৌনতাকে উপভোগ্য করে তোলে। দৈহিক মিলন বা রতি ক্রিয়ার বিভিন্ন আসনের গুরুত্বঅপরিসীম। বিভিন্ন দম্পতিরা বিভিন্ন আসনে অভ্যস্ত থাকে। তবে একথা সত্যি যে যৌনমিলনের আসন উৎকর্ষতা দান করে। যৌনমিলনে বা রতি ক্রিয়ায় অনেক তৃপ্তি আনন্দ লাভ করা যায় মিলনের আসন পরিবর্তনের মাধ্যমে। তত্ত্ব মতে, যৌন ক্রিয়ার নানা আসন রয়েছে যা অসংখ্য। তবে শারীরিক সন্তুষ্টির জন্য সর্বত্রই স্বীকৃত ও বিজ্ঞান সমমত আসন রয়েছে প্রায় অর্ধডজন। পাশ্চাত্যে ওরাল সেক্স রয়েছে যা আমাদের দেশে অপ্রচলিত। ওরালসেক্সে পুরুষ ও নারী উভয়ে উভয়ের যৌনাঙ্গে মুখের কিংবা জিহ্বার দ্বারা যৌন উত্তেজনাকেচূড়ান্ত স্টেজে নিয়ে যায়। আমাদের দেশের জন্য এই আসনটি অপ্রচলিত একটি আসন। হোমোসেক্সুয়ালে এবং লেসবিয়ানে কোনো বিশেষ আসন নেই। কেননা ধর্ম এবং বিজ্ঞান এ ধরনের দৈহিক মিলন বা যৌনমিলনকে সাপোর্ট করে না। পাশ্চাত্যে খ্রীষ্টান মিশনারিদের নামানুযায়ী মিশনারী আসন নামে একটি আসন রয়েছে। পুরুষ ও নারীর ওপর নির্ভর করে যে তারা কোন আসনে বেশি তৃপ্ত। স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে কামকলায় মিলিত হতে পারেন। এতে পুরোপুরি লিঙ্গপ্রবশের সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে। কিন্তু দু‘জনে মুখোমুখি থাকায় স্ত্রীকে- *. চুম্বন *. লেহন *. বুকে মুখে ও পাছায় এবং পিঠে হাত বুলিয়ে স্ত্রীকে অনেক বেশি যৌন সুখ দেয়া যায়। স্ত্রীও এ ভঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বা এ্যাকটিভ হয়ে নিজের ইচ্ছামত রতিক্রিয়া করতে পারেন। মাঝে মাঝে ক্লান্তবোধ হলে স্বামীর বুকে শুয়ে বিশ্রামনেয়ারও সুবিধা রয়েছে। অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে তার বুকের উপরে তুলে আদর সোহাগ করতে ভালোবাসেন- *. পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে যৌনমিলনে স্ত্রী যদি স্বামীরডান পাশে থাকেন, তবে স্বামী-স্ত্রীর শরীরের দিকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেলে *. তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে স্ত্রীর স্তনে, গলায়, কাঁধে, ঘাড়ে এমনকি ভগাঙ্কুরে হাতের মৃদু সপর্শ দিয়ে বহুক্ষণ আদর করতে পারেন। *. স্বামী অস্বাভাবিক স্থুল দেহহলে এই ভঙ্গী তাদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে। *. কারণ এতে পুরুষ দেহ স্ত্রীর পরে কোনো অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে না। *. এছাড়াও যাদের লিঙ্গ ছোট বলে মনে ভয় পোষণ করেন তারা এই ভঙ্গীতে যৌনমিলন করে, নিজেদের ভয় থেকে মুক্ত হতে পারেন অনায়াসেই। *. আবার যাদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজনার সময় সাত ইঞ্চির বড় হয় তাদের স্ত্রীরা এই ভঙ্গীতে মাঝে মাঝে যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন। *. তবে লিঙ্গ অস্বাভাবিক জোরের সঙ্গে প্রবেশ না করালে কোনো রকম ব্যথা লাগার কথা নয় *. এ ভঙ্গীতে নারী যথেষ্ট সুখ পায় না *. কারণ নারীর যৌনাঙ্গের সম্ভোগপুরোপুরি পুরুষের যৌনাঙ্গে গুলিতে মিলিত হয়ে স্পর্শজাত উত্তেজনা খুব একটা সৃষ্টি করতে পারে না *. তবে এ অভাব পুরুষ তার নিজের হাতের সাহায্যে পুরণ করতে পারেন *. যৌনমিলনের ফাঁকে ভগাঙ্কুর, যোনিলোম এবং যোনি আবরক পর্দায় হাত দ্বারা সপর্শ ও মৃদু ঘর্ষণ করলে স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠতে থাকবে। *. আবার নারীও এ ভঙ্গীতে কিছুটা সক্রিয় হবার সুযোগ পায় *. এ ভঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি সময় যৌনমিলন করা যায় *. এ ভঙ্গীতে দু’জনার কেউই অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে না *. যৌনমিলনের আরেকটি আসন প্র্যাকটিস করা যায়। যেমন-স্ত্রী স্বামীর ওপরে উঠে যৌনমিলন করবেন। *. এ আসনে স্বামী চিৎ হয়ে শুয়ে থাকবেন *. পা দুটো একটু ছড়ানো থাকবে *. স্ত্রী স্বামীর উপরে উঠে নিজের হাতে স্বামীর লিঙ্গ নিজ যোনিতে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে বসে বসে যৌনমিলন করতে পারেন *. এ ভঙ্গীতে স্ত্রী সম্পূর্ণ সক্রিয় ও স্বাধীন অনুভব করেন *. মাঝে মাঝে মুখ নিচু করে স্বামীকে চুম্বন করতে পারেন বা স্বামীর গভীর চুম্বন গ্রহণ করতে পারেন *. যেসব রমণী যৌনতৃপ্তি লাভ করেন না *. তারা এ ভঙ্গীতে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারেন *. স্ত্রী এ ভঙ্গীতে নিজের ইচ্ছামত ঘুরে ফিরে স্বামীর দিকে পেছন বা পাশ ফিরে বসে যৌনমিলন করতে পারেন *. এবং যোনির বিভিন্ন স্থানে লিঙ্গের উত্তেজিত স্পর্শ নিতে পারেন
    কথায় কথায় সেক্স


    ১প্রশ্নঃ আজ ২ বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে। আমার বয়স ২১ বছর। আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালোবাসে। সে আমার সব রকম চাহিদা পূরণ করতে চেষ্টা করে, আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। কিন্তু আমার চৎড়নষবস হলো তার সামনে আমি আমার দেহেরপোশাক খুলতে পারি না এবং সে চাইলেও আমি তার সামনে নাইটি পরেও যেতে পারি না।আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটি কম। আমি যখন নিজেকে আয়নায় দেখি তখন নিজেকে খুব মোটা লাগে। আমি আমার প্রিয় স্বামীর জন্য, তার ভালো লাগার জন্য সেক্সি কাপড়-চোপড় পরিধান করতে চাই এবং নিজের মনেও ঈড়সভড়ৎঃধনষব ফিল করতে চাই। এখন আমি কী করতে পারি? উত্তরঃ আপনি যখন আপনার স্বামীর সামনে শরীরের সব বস্ত্র খুলে ফেলেন তখন আপনার মাঝে টহবধংু, উদ্বিগ্নতা, লজ্জা ও নিজেকে বেমানান লাগে, অরক্ষিত লাগে- এটাই স্বাভাবিক। মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রতিটি মানুষই অন্যের সামনে উলঙ্গ হতে কম-বেশি অস্বস্তিবোধ করে থাকেন। আপনার বেলাতেও তাই ঘটছে। এরকম ব্যাপারটা আরো বিরাট আকার ধারণ করে যখন তা নিজের দেহকে ঘিরে দেখাদেয়। আপনি ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে আমরা আমাদের নিজেদের নিয়ে যে রকম ভাবনা ভেবে থাকি তা আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে এবং এতে আমরা আমাদের ভেতরকার চমৎকার আকাঙ্ক্ষা বা উবংরৎবং গুলোকে প্রকাশ হতে অযৌক্তিকভাবে বাধা দিই। মনে রাখবেন কারো দেহই একেবারে নিখুঁত নয়। এমনও নারী আছে যাদের শরীরের বিশেষ লোমগুলো নেই। তাদের অবস্থার কথা ভাবুন তো একবার। আপনার স্বামী কি আপনাকে সুপার মডেল হিসেবে দেখতে চায়? এরকম চাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ তার নিজের দেহকে নিয়েও তার মাঝে কিছু না কিছু হীনমমন্যতা থাকতে পারে এবং আপনি যদি তাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় দেহের অধিকারী পুরুষ হিসেবে দেখতে চান এরকম ভাবনাও আপনার স্বামীকে বিচলিত করছে, হয়তো তিনিও তা আপনার সামনে প্রকাশ করছেন না। তাই এ ব্যাপারটা আপনারা দুজনে মিলেই ভালোবাসার সাথে আবিষকার করতে পারেন এবং খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে পারেন দুজন দুজনার কাছে কিভাবে আরো আকর্ষণীয় হওয়া যায়। আপনাদের দুজনার এরকম উপলব্ধি দুজন দুজনার উৎসাহ যোগাবে এবং দুজন দুজনাকে সাপোর্ট দেবে। আপনি যদি আপনার নিজের শরীর অর্থাৎ শরীরের মোটা মোটা ভাব বা কোনো খুঁত নিয়ে ভাবতে থাকেন অনবরত তাহলে আপনার সেলফ স্টেম আরো হ্রাস পাবে এবং আত্মবিশ্বাসেও ফাটল দেখাদেবে। আপনি যেমনটি আছেন তেমনিভাবে নিজের কাছে নিজেকে গ্রহণ করুন, আপনারস্বামীর সামনে মন মাতানো রাত্রিকালীন পোশাক পরুন, তাকে ভালোবাসুন-দেখবেন সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেছে। আপনি আপনার দাম্পত্য জীবন মনভরে উপভোগ করুন। নিজেকে মনে-প্রাণে সুন্দর ভাবুন। ৩প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৮ বছর। আমি যখন আমার স্বামীর সঙ্গে মিলিত হই তখন আমার যৌনাঙ্গে প্রচুর ব্যথা হয়। তাই আমার স্বামী যখন আমার সাথে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের আবেদন জানায় তখন আমি ভয়ে কুঁকড়েযাই। আমার মধ্যে যৌন ফোবিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ আমি আমার স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসি, আমিও মনে-প্রাণে নিজেকে তার কাছে বিলিয়ে দিতে চাই কিন্তু ওই ব্যথাটাই আমাকে কষ্ট দেয়। তাই এখন আপনার কাছে এর প্রতিকার জানতে চাচ্ছি। অনুগ্রহ করে সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ থাকব। উত্তরঃ যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট করানোর পর কিছু কিছু নারীতাদের যৌনাঙ্গে সঙ্গমকালীন পুরো সময় জুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার নিরবচ্ছিন্ন ব্যথা অনুভব করে থাকে। সেক্স করতে সক্ষম এমন বয়সের যে কোনো নারীর এ সমস্যাটি হতে পারে। এ সমস্যাটি শারীরিক বা মানসিক অথবা উভয় কারণে হতে পারে। শারীরিক কারণের মধ্যে রয়েছে- *. হঠাৎ করে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়া অথবা স্বাভাবিক নারীদের তুলনায় মোটা হাইমেন যা পেনিস প্রবেশ করাতে গেলেই বাধা দেয় *. কনডম, ডায়াফ্রাম বা জন্ম নিরোধক ফোম বা জেলির কারণে এলার্জিক বা সপর্শকাতরতা বেড়ে যাওয়া *. শ্রোণীচক্রের বা পেলভিসের প্রদাহজনিত রোগ-ব্যাধি *. যৌন এলাকায় সংক্রমণ *. মূত্রনালি বা ইউরেথ্রাতে স