ইরবায বিন সারিয়াহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিন আমাদের নিয়ে ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে বসলেন। অতঃপর আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী ভাষায় উপদেশ দিলেন যে, চক্ষু সমূহ অশ্রুসজল হয়ে গেল এবং হৃদয় সমূহ ভীত-বিহবল হয়ে ... পড়ল।
এমন সময় একজন বলে উঠলো, হে আল্লাহর রাসূল ! মনে হচ্ছে এটা যেন বিদায়ী উপদেশ। অতএব আপনি আমাদেরকে আরও বেশী উপদেশ দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির উপদেশ দিচ্ছি। আমি তোমাদের আমীরের আদেশ শুনতে ও মান্য করতে উপদেশ দিচ্ছি যদিও তিনি একজন হাবশী গোলাম হন।
কেননা আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা সত্বর বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকঁড়ে ধরবে। তাকে কঠিনভাবে ধরবে এবং মাড়ির দাঁত সমূহ দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান ! দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টিসমূহ হ’তে দূরে থাকবে। কেননা (দ্বীনের মধ্যে) যেকোন নতুন সৃষ্টি হ’ল বিদ‘আত । আর প্রত্যেক বিদ‘আত হ’ল পথভ্রষ্টতা’।
[ আহমাদ হা/১৭১৮৫, আবুদাঊদ হা/৪৬০৭, দারেমী হা/৯৫, তিরমিযী হা/২৬৭৬, ইবনু মাজাহ হা/৪২; মিশকাত হা/১৬৫ ‘কিতাব ও সুন্নাহ্কে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ ; সনদ ছহীহ]
মোটকথা শারঈ বিদ‘আত সম্পূর্ণটাই ভ্রষ্টতা। তাতে ভাল ও মন্দ বলে কোন ভাগাভাগি নেই। এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট ঘোষণা হ’ল كُلَّ بِدْعَةٍضَلاَلَةٌ وَكُلَّ ضَلاَلَةٍ فِى النَّارِ ‘প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম’। [ নাসাঈ হা/১৫৭৯ ] আর এই বিদ‘আত হ’ল শারঈ বিদ‘আত, আভিধানিক বিদ‘আত নয়।