Saturday 2025-06-21 6:10 PM |
Welcome Guest Main | Registration | Login | RSS |
Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
My site
BlogMain » 2012 » December » 05 » সমালোচনা করা ব্যপক সহজ। এই সমালোচনা করার কাজটা আমরাও আলহামদুলিল্লাহ বেশ পারি। আসলে এটা স্বভাবজাত যোগ্যতা !!!! এটাকে অর্জন করতে হয় না।
4:02 AM সমালোচনা করা ব্যপক সহজ। এই সমালোচনা করার কাজটা আমরাও আলহামদুলিল্লাহ বেশ পারি। আসলে এটা স্বভাবজাত যোগ্যতা !!!! এটাকে অর্জন করতে হয় না। |
সমালোচনা করা ব্যপক সহজ। এই সমালোচনা করার কাজটা আমরাও আলহামদুলিল্লাহ বেশ পারি। আসলে এটা স্বভাবজাত যোগ্যতা !!!! এটাকে অর্জন করতে হয় না।
ইসলামিক ভাবধারার পেজগুলোতে যারা পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের প্রতি আন্তরিক দুআ জ্ঞাপন করে কয়েকটি কথা আজকে শেয়ার করতে চাই আমাদের ইউজারদের উদ্দেশ্যে।
আমরা সাধারণ মানুষ। হয়ত কেউ কেউ অসাধারণ আছেন। ফেসবুকে বা ব্লগে আমরা লিখি। আমরা যতটুকু শিখি ততটুকুর উপর বেজ করে আমরা লিখি।
আমাদের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। ভুল তো হবেই। যখন ভুল হবে তখন অন্য মুসলিম ভায়জদী ভুল ধরতে পারেন তার দায়িত্ব হলো ভুলটি জানিয়ে দেওয়া এবং সংশোধনের পথ দেখানো।
কিন্তু আমরা করছি কি?
এডমিন একটি পোস্ট দিল যে সম্পর্কে আমার নিজের নুন্যতম জ্ঞান নাই। ব্যাস এডমিনকে গালাগালি। এই সেই দালাল হাবি জাবি কত কিছু। কত যে বাজে ভাষায় কিছু মানুষ গালি গালাজ করেন! আল্লাহু আকবার। গালি দিয়ে প্রতিবাদ?
এডমিনদের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। আপনি যদি সঠিক বিষয়টা জানেন তবে কমেন্টস এ সুন্দর করে উল্লেখ করা যেতে পারে। ''ভাই বিষয়টা এমন নয় ঐরকম''!
হতে পারে আপনি যেটা জানেন সেটা ভুল। এডমিন যেটা লিখেছে সেটাই সঠিক। আপনি না জেনেই গালি গালাজ শুরু করবেন? আপনার দায়িত্ব কি গালি দেয়া নাকি আপনার দায়িত্ব এডমিন কে সঠিক বিষয়টা যেটা আপনি সঠিক মনে করছেন সেটা জানানো?
আবার উল্টোও ওতে পারে যে আপনিই সঠিক আর এডমিন ভুল। আপনি যদি এডমিনকে সঠিক বিষয়টা তুলে ধরেন তবে এডমিন নিজেকে সংশোধনের সুযোগ পাবে। হয়ত বিস্তা এডমিনের জানা নাই। আপনি তাকে জানান। কিন্তু ভাই না জানিয়েই ''আন লাইক দিলাম'', এডমিন দালাল, রাজাকার, এডমিন মুর্খ, .... আরো বিশ্রী কমেন্টস।
যিনি বিশ্রী অশ্লীল কমেন্টস দেন তার জ্ঞানের অবস্থা কি তিনি চিন্তা করেন? এই সকল গালি দিয়ে ইসলাম প্রীতি দেখানো হয়?
অনেক এডমিন একটি পোস্ট তৈরির জন্য স্টাডি করেন। নিজে জানেন তারপর পোস্ট তৈরী করেন। কমেন্টস এ যখন অনেকে ভিন্ন মোট দেন বা পাল্টা প্রশ্ন করেন তখন সেটার জন্য এডমিনকে স্টাডি করতে হয় যদি বিষয়টা এডমিনের জানা না থাকে। এর ফলে শিক্ষার বা জানার প্রসার ঘটে।
ফেসবুকে পেজ এ লেখার উদ্দেশ্যই তো এটা যে নিজেও জানা এবং অন্যকে জানানো।
অনেকেই সমালোচনা করেন কিন্তু তাতে কোনো উত্তর থাকে না। ভুল ধরেন কিন্তু সঠিক বিষয়টা কি সেটা তারা বলেন না। অথচ তর্ক করেন।
অনেকে ফেসবুক আলেম বলে কটাক্ষ করেন। যারা এই গুপের মানুষ আমার ধারণা মতে তারা পির সুফিবাদী আর কেরামতির মিথ্যা কাহিনী প্রেমিক। কারণ যখন তখন যাকে তাকে আলেম বানানো তাদের হেবিট!! যার ফলাফল ফেসবুক আলেম বা ফেবু আলেম !!!
আমরা যারা পোস্ট দেই আমরা কি কোনো দিন নিজেদের আলেম বলেছি?
মুসলিমদের মধ্যে ভুল ভ্রান্তি থাকবেই তবু মুসলিম পরস্পর ভাই ভাই।
একটা বাস্তব উদাহরণ উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। কার ভালো লাগলো বা না লাগলো তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। যারা ইসলাম দিয়ে বিষয় মূল্যায়ন করেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা অন্তত করেন তারা বোধ করি বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন।
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেব ওয়াজ মাহফিলে সকলকে নিয়ে ''ইয়া নবী সালাম আলাইকা'' সুর তুলে দাড়িয়ে মিলাদ পড়া শুরু করলেন। ওয়াজে জাল জইফ হাদিস বাছ বিচার না করেই বয়ান করেন।
আমরা মিলাদ কে বিদাত মনে করি এবং করবই। জাল হাদিস জইফ হাদিস যত বড় মাওলানাই বলেন না কেন তা সহিহ হবে না কেয়ামত পর্যন্তও!
প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিন জাফরী সাহেব স্পষ্ট করেই মিলাদ বিদাত এই বক্তব্য রেখেছেন।
এই প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিন জাফারী সাহেব তার এক বক্তব্যে যখন দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেবের প্রসংসা করেন তখন বুঝতে পারি আসলে মুসলিমের তো ভুল থাকতেই পারে । তা-ই বলে ভুলের জন্য কি শত্রু হয়ে যাবে?
প্রফেসর মুফতি কাজী ইব্রাহিম। বুকের উপর হাত বাধেন বাধতেও বলেন। রফল ইয়াদায়ন করেন। গণতন্ত্র কে কুফরী মতবাদ বলেন। এবং তিনি সাইদী সাহেবের বক্তব্যের মিলাদ কেও বিদাত বলেন জাল হাদিস কেও জালই বলেন আবার তিনিই আবার দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেবের প্রশংসাও করেন। কারণ সাইদী সাহেবের ভুল আছে এটা থাকতেই পারে, ভুল থাকলেও তিনি ইসলামের খেদমতে ইসলামের প্রচারে নিয়োজিত।
ড. মনজুরে এলাহী। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একজন বিজ্ঞ স্কলার। তিনি যখন দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেবের রোগ মুক্তির জন্য দুআ করেন তখন আমি আপনি দুই লাইন জ্ঞানের অধিকারী হয়ে ব্যপক গালিগালাজে লিপ্ত !!!!!!!
অনেকের শুনতে খারাপ লাগলেও কিছুই করার নাই। আমিও তথাকথিতদের মত তাদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা অন্তরে পোষণ রাখতাম।
কিন্তু এই ঘটনা জানার পর দেখলাম এই খারাপ ধারণা রাখার মধ্যে আমার কল্যান তো নেইই বরং ক্ষেত্র বিশেষে অকল্যান রয়েছে। এখানে নিজের মতামত উপস্থাপন করব না আমরা। যার যা মনে চায় মনে করতে পারেন। আপনি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যা ইচ্ছা মনে করেন।
কারো কাছে দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেব পছন্দের আবার কারো কাছে তিনি অপছন্দের। হতেই পারে। যাদের কাছে তিনি পছন্দের তারা ইসলামের কারণেই তাকে পছন্দ করেন। হতে পারে তার ভুলভ্রান্তি রয়েছে।
আবার যারা অপছন্দ করেন তাদের এক অংশ শুধু ইসলামের কারণেই তাকে অপছন্দ করেন। যেহেতু তিনি অনেক বিদাতের প্রচার করেন তা-ই তাকে কেউ কেউ অপছন্দ করতেই পারেন।
আরেক অংশ তাকে অপছন্দ করার পিছনে কোনো ধর্মীয় কারণ নেই। আছে শুধু রাজনৈতিক কারণ বা জ্ঞানের অভাবের কারণ। অমুক তমুক বেনামাজি, ধর্ম সম্পর্কে কেবারে উদাসীন, ধর্মনিরপেক্ষ , কাফের নাস্তিক বলে দিল দেলোয়ার হোসাইন সাইদী খারাপ তা-ই তাদের কাছেও তিনি খারাপ।
আমরা মুসলিম । বেনামাজি, ধর্ম সম্পর্কে কেবারে উদাসীন, ধর্মনিরপেক্ষ , কাফের নাস্তিক দের কোথায় আমরাও নাচব কেন? আমরা সমালোচনা করব বিদাতের। একই ভাবে আমরা প্রশংসা বা সমর্থন দিব তার ইসলামের খেদমতের !
অর্থাত আল্লাহর জন্যই ভালবাসা আল্লাহর জন্যই ঘৃনা করা। ইতিহাস পরে জ্ঞানী হচ্ছেন? কুরআন হাদিস ইসলামিক কিতাব পড়ে জ্ঞানী হতে বাধা দিচ্ছে কি কেউ?
যার সম্পর্কে যে যেই ধারনাই রাখেন না কেন তা যাচাই করে তার পর মানবেন। অবশ্যই আমার কাছে দুজন খানেক ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ধর্মী নিরপেক্ষ বিশ্বাসী কপটের থেকে একজন অল্প জ্ঞানের মসজিদের মুয়াজ্জিন এর কথার মূল্য অনেক অনেক অনেক বেশি।
বাংলাদেশের একজন জাতীয় অধ্যাপক তিনি নাকি স্বঘোষিত নাস্তিক ছিলেন। অবশ্য তিনি এখন মৃত। এই পি এইচ ডি করা আর ২০ বছর অধ্যাপনা করিয়ে অধ্যাপক হওয়া চরম মুর্খের ( যাহেতু নাস্তিক) থেকে সামান্য মুসলিম ঝাড়ুদার এর বেসিক ঈমানের মূল্য কখনো তুলনা যোগ্যও হতে পারে না। কারণ নাস্তিক হচ্ছে নিকৃষ্টতর । এই নাস্তিকদের কথা শুনে আমরা গালি গালাজে লিপ্ত আছি অনেকেই।
অতএব প্রচলিত শিক্ষায় অনেকেই মহা পন্ডিত মনে করতেই পারেন। কিন্তু ইসলাম নিয়ে যখন কারো সাথে তর্ক করতে আসবেন তখন অন্তত বিষয়টা একটু বিশদ জেনে তর্ক করলেই উভয় পক্ষের মঙ্গল।
আমাদের সবার উদ্দেশ্য কিন্তু এক। যারা এডমিনদের গালি গালাজ করেন তাদের উদ্দেশ্যও কিন্তু এক। যে তারা ইসলাম কে ভালো বসতে চান পালন করেন আর না-ই করেন। এডমিন যখন এমন পোস্ট দেন যার বিপরীত তিনি জানেন তখনই গালি গালাজ না করে আপনি যেটা জানেন সেটা উপস্থাপন করুন এবং ডিসকাস করুন। হতে পারে আপনিই ভুল জানেন নতুবা এডমিন ভুল জানে।
ভুল করছে দেইখা একেবারে ''খাইয়া ফালামু'' আচরণ প্রদর্শনের তো কোনো মানে নাই। বরং উপস্থাপন করুন। আমরাও শিখি।
আমরাও শিখি আপনিও শিখুন। তাবলিগ তো এখানেই। একে অপরকে ইসলাম সম্পর্কে জানানো ।
আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল ভ্রান্তির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। মানুষের মন জুড়ানোর জন্য পোস্ট দেই না আমরা। মানুষের মন জয় আর লাইক এর জন্য পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ফান পেজ খুলতাম।
তালাল যখন তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে নদীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আল্লাহর নির্দেশে তালুত তাঁর বাহিনীকে নদীর পানি পান করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু বিশাল বাহিনীর সামান্য কিছু সংখ্যক সৈন্য ব্যতীত সকলেই পানি পান করে নিয়ে ছিল। সামান্য কয়জন সৈন্য তালুতের নির্দেশ অনুসরণ করেছিল । (কুরআনে বর্ণিত তালুত এর কাহিনী )
অতএব সংখ্যার আধিক্য সবসময় সত্যের মাপ কাঠি নয়। সংখ্যা দিয়েই সব সময় বিচার করা মারাত্মক ভুল।
আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিন। আমাদের ভুলভ্রান্তি সংশোধনের তৌফিক দিন।
হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পদস্খলন অথবা পদস্খলিত হওয়া থেকে। পথ হারিয়ে ফেলা অথবা অন্য কর্তৃক পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে। কারও উপর জুলুম করা থেকে অথবা কারো নির্যাতিত হওয়া থেকে। কারও সাথে মূর্খতা-পূর্ণ আচরণ করা থেকে অথবা অন্যের মূর্খতা-জনিত আচরণে আক্রান্ত হওয়া থেকে। (নাসায়ী)
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি। (ইবনে মাজা)
|
Views: 430 |
Added by: Jahir
| Rating: 0.0/0 |
|