Tuesday 2025-06-24 2:30 PM |
Welcome Guest Main | Registration | Login | RSS |
Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
My site
Main » 2011 » September » 9 » গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে
3:47 PM গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে |
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে দাঁড়িয়ে গেছে। জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার জরিপমতে, ১৯৯৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭০ হাজার ৫০৭টি। সড়ক দুর্ঘটনায় যত লোক মারা যায় তার চেয়ে দ্বিগুণ পঙ্গু অথবা আহত হয়। সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অদক্ষ চালক বা হেলপার দ্বারা গাড়ি ড্রাইভিং, বেপরোয়া গতি, ভুয়া লাইসেন্স, আইন অমান্য, দুর্নীতি ইত্যাদির পাশাপাশি বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার আর একটি অন্যতম কারণ গাড়িচালকদের মোবাইল ফোনালাপ। সম্প্রতি মীরসরাইয়ে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, তার মূল কারণ ছিল গাড়িচালকের ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো। অভিযোগ ছিল, হেলপার গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলছিল। ৫২ জন শিশু-কিশোরকে প্রাণ দিতে হয়েছে গাড়িচালকের দায়িত্বহীনতায়। স্মরণকালের এত বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
গাড়িচালকদের ফোনালাপ অব্যাহত রয়েছে এবং একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। মীরসরাইয়ের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ২৮ জুলাই বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু ঘটে। সর্বশেষ সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়ায় বরযাত্রীবাহী গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ার মুহূর্তেও বাস ড্রাইভার ফোনে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার চকরিয়া পৌর শহরের ওবামুহরী হিন্দুপাড়া শ্রী আচার্য্যের ছেলে রঞ্জন আচার্য্যের বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা ম্যারেজ হাউজে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৫ আগস্ট ভোরে বরযাত্রীবাহী একটি গাড়ি চকরিয়ায় ফেরার পথে লোহাগাড়ার ঠাকুরদীঘি এলাকায় ড্রাইভার মোবাইলে কথা বলা শুরু করে। যাত্রীরা তাকে গাড়ি চালনা অবস্থায় মোবাইলে কথা বলতে বারণ করা সত্ত্বেও ড্রাইভার কথা বলা অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে গাড়িটি সড়কের এক পাশে চলে যায়। এরপর ড্রাইভার ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নেয়ার একপর্যায়ে বিপরীত দিক থেকে মালবাহী পিকআপ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। চালকদের গাড়ি চালানোর সময় ফোনালাপ বন্ধে আইন আছে। কেউ গাড়ি চালনা অবস্থায় ফোনে কথা বললে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে আইন করা হয়েছে। অথচ তার বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের কোন দায়িত্বশীলতার লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু আইন করা নয়, আইন প্রয়োগে নিশ্চয়তা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনারোধ সম্ভব নয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক সিস্টেমের পাশাপাশি গাড়ি চালানো অবস্থায় ফোনালাপ বন্ধে গণসচেতনতা জরুরি। গণসচেতনতা পারে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে। সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা নজরদারি করা সম্ভব নয়। ট্রাফিক পুলিশের লোকবল কম হওয়ায় এক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচার, বিবৃতি, বিজ্ঞাপন, টিভি এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। ট্রাক, বাস, প্রাইভেট গাড়ির চালক, মোটরসাইকেল আরোহী যে-ই হোক না কেন, যাত্রীরা ফোনালাপ বন্ধে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। গাড়ি চালানো অবস্থায় কাউকে ফোন করতে দেখলে নিকটস্থ পুলিশ অথবা থানায় অভিযোগ করতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। পুলিশকে ইনফর্ম করলে আইন অমান্যকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ তাৎক্ষণিক কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে। এই আস্থা জনসাধারণের ভিতর আনতে পুলিশকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিক জরিমানাসহ আইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা, ফোনালাপ বন্ধে কঠোর নজরদারি এবং সেই সঙ্গে প্রতিটি নাগরিক নিজ দায়িত্ব মনে করে জোর প্রচারণার মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে।
|
Views: 316 |
Added by: Jahir
| Rating: 0.0/0 |
|